নওগাঁর ধামইরহাটের শহীদ আব্দুল জব্বার মঙ্গলবাড়ি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের অভিযোগ উঠেছে।





প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও সহকারী প্রধান শিক্ষিকা সুমাইয়া উম্মে সামছি স্কুলের একটি বাথরুমে অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। তবে, বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় এলাকাবাসীও এ নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছেন না।





সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও সহকারী প্রধান শিক্ষিকা সুমাইয়া উম্মে সামছির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কমিটির অভিভাবক সদস্য, দুই শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।





অভিযোগ বলা হয়েছে, গত শনিবার (২০ মার্চ ) প্রতিষ্ঠানে অন্য কোন শিক্ষক কর্মচারী উপস্থিত না থাকার সুযোগে প্রধান শিক্ষকের অফিস রুমের সংযুক্ত টয়লেটে তারা অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষক টয়লেট করতে প্রতিষ্ঠানে আসেন। এসময় তিনি প্রধান শিক্ষকের অফিস রুম খোলা দেখে অফিসে যান।





অফিসে প্রধান শিক্ষককে দেখেন না তিনি। কিছুক্ষণ পর টয়লেট থেকে বেড়িয়ে আসেন প্রধান শিক্ষক আছেন। শিক্ষক টয়লেটে যেতে চাইলে সেখানে পানি নেই বলে অফিস রুম বন্ধ করে দিয়ে তিনি চলে যান প্রধান শিক্ষক।





এসময় প্রধান শিক্ষকের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে ওই শিক্ষক তার সহকর্মীদের মাঝে বিষয়টি জানান। কিছুক্ষণ পর বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে উৎসুক জনতা স্কুলে ভীর করেন। দীর্ঘ ৪ ঘন্টা পরে সুকৌশলে প্রধান শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের সাবেক এক সভাপতির মাধ্যমে চাবি পাঠান। সাবেক সভাপতি অফিস রুম খুলে দিলে উপস্থিত জনতার সামনেই সহকারী প্রধান শিক্ষিকা সুমাইয়া উম্মে সামছি দৌড়ে বেড়িয়ে যান।





অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, আগেও বেশ কয়েকবার প্রতিষ্ঠানের টয়লেটেসহ অন্যান্য জায়গায় তারা এ অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়েছেন।





যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। তিনি দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, এসব অভিযোগ সত্য নয়। তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে।





সহকারী প্রধান শিক্ষিকার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।





অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গণপতি রায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী অভিযোগ জমা দিয়েছেন। এ অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মাহফুজুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ইউএনও স্যারের মাধ্যমে আমি তদন্তভার পেয়েছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।