বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন,





জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যেসব কথা বলেছেন তা শুধু নজিরবিহীন নয়, আপত্তিকর ও অরুচিকর।





মঙ্গলবার (৯ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।





রিজভী আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কথা বাদই দিলাম একজন রাজনীতিবিদ হিসেবেও তিনি এ ধরনের কথা বলতে পারেন বলে আমি মনে করি না।





প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ২৫ মার্চ যখন দেশবাসী রাস্তায় বেরিকেড দিচ্ছে তখন চট্টগ্রামে জিয়াউর রহমান গুলি করেছেন। কত বড় ইতিহাস বিকৃতিকারী প্রধানমন্ত্রী তিনি?





তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের যেসব নেতা জাতীয় পর্যায়ে ছিলেন তাদের সন্তানরা যেসব বই লিখছেন এবং শেখ হাসিনার ক্যাবিনেটে যেসব মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন তারা যে বই লিখছেন, সেখানে জিয়াউর রহমানকে মহিমান্বিত করেছেন। স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধে তার যেসব অবদান, শেখ হাসিনা এগুলোকে ঢাকা দিতে পারছেন না, আড়াল করতে পারছেন না।





২৬ মার্চ জিয়াউর রহমানের ঘোষণা একটি ঐতিহাসিক ঘোষণা। রাজনীতিবিদ, গবেষক সবাই এটাকে শুধু স্বীকারই করেন না, তারা এটা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। শুধুমাত্র শেখ হাসিনা করেন না। ইতিহাস গবেষণা বিশেষ করে শেখ হাসিনার কেবিনেটের বিশেষ ব্যক্তিদেরও গবেষণায় এবং স্মৃতিচারণে মেজর রফিকুল ইসলামের বইতে, একে খন্দকারের বইতে স্পষ্টভাবে জিয়াউর রহমানের বিষয় উঠে এসেছে। সুতরাং শেখ হাসিনার তো কিছুই বলার নেই। তাই প্রতিদিন বানানো মিথ্যাচার কথাগুলো বলছেন।





বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, এখন সত্যি প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা চায়নি। তাদের নেতা বৃহত্তর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। আজকের প্রধানমন্ত্রীর পিতা। যারা যুদ্ধ শুরু করেছে, প্রধানমন্ত্রী হতে দেয়নি এটার কারনেই তাদের ক্ষোভ। জিয়াউর রহমান জাঞ্জুয়াকে হত্যা করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। সেই ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী বলছেন যারা চট্টগ্রামে ব্যারিকেড দিয়েছেন তাদের নাকি হত্যা করেছেন। জিয়াউর রহমানের শত্রুরাও একথা বলতে পারবেন না।
যে ব্যক্তি পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কমান্ডারকে হত্যা করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন তার প্রতি কিভাবে কলঙ্কের লেপন দিলেন। তাই বুঝতে হবে শেখ হাসিনারাই ছিলেন বৃহত্তর পাকিস্তানের পক্ষে। এজন্য যারা স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধে গেলেন তাদের প্রতি চরম ক্ষোভ। এজন্য জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করছেন।